আজকের লেখা: অভাগা
যেদিন আর কপালের ভাঁজে রাখা থাকবে না একবিন্দু ঘাম, সেদিন বুঝে নিতে হবে, সুখ সন্ধানে নিমজ্জিত হয়ে থেকে গেছি আর শান্তি, সে তো ভিনদেশী তারা। শুধু খুঁজে বেড়ানো যায় তাকে , নাগাল পাওয়া যে অসম্ভব। এসির আবেশে রাখা শরীরটুকু ঠান্ডা হয়ে আছে আর বাকি থাকা অন্তর যেন আগ্নেয়গিরি। লাভা নিঃসরণটুকুও অত্যন্ত সাবধানে করতে হয়। সময়, বয়স সবটুকু বাড়তে বাড়তে আজকাল বড়ই খামতি চারিদিকে। মনঃসংযোগে বারেবারে অভিযোগ স্থান পাচ্ছে। আর পাতা ঝরার আওয়াজে শিহরণ খেলে যাচ্ছে না মনের বারান্দায়। এক পাতা ভাঙা-চোরা প্রেম লিখে নিজেকে না হয় নাই বা কষ্ট দিলে। শহরে যে সময়ে সবচেয়ে ভিড় হয় তুমি সেদিনও কাঁদো। আসলে পৃথিবীতে 'অভাগা' শব্দের উৎপত্তি বোধ হয় এভাবেই। সবটা জেনে বুঝেও ভালোলাগা, ভালোবাসা উজাড় করে দিতে দিতে , একটু একটু করে শূন্য হয়ে যাওয়া। শূন্যতা কি কেবল তোমারই? না তা নয়, যেই মুহূর্তেই ভাবা হয়, শেষ সম্বলটুকুও বোধ হয় এবারে শেষ হতে চলেছে, তারপরেও কিন্তু উজার করার শক্তির অভাব হয় না অভাগা-দের। এইভাবেই পৃথিবীর শতকোটি অভাগা মৃত্যুর আগে অবধি বেঁচে থাকে, তাঁদের উজার করার ক্ষমতাটুকু ঈশ্বর তাঁদের থেকে কেড়ে নিতে পারেন না।।
©মাম্পি মল্লিক
আমার লেখা আরো কিছু বাংলা কবিতা ও লেখা যেগুলো আপনার ভালো লাগতে পারে:
শীত-কাতুরে
সময়ের মত করে
0 মন্তব্যসমূহ