বাংলা কবিতা: অনুভূত
এইভাবে আর কতদিন বাঁচা যায়?
নিজ অস্তিত্বে যখন প্রতিদিন একটু একটু করে,
ধুলো জমতে দেখি,তখন বাঁচার সবটুকু ইচ্ছে,
যেন পড়ে থাকা উচ্ছিষ্টদের মত মনে হতে থাকে।
আগে যে ফুল-গাছ ভালোবেসে পরিচর্যা করেছি,
আজ তার দিকে চেয়েও দেখিনা, দেখা বারণ,
কোনো এক দৈব-বাণীতে শোনা গেছে,
আমি এক ভীষন বড় পাপী, যার জন্য পৃথিবীর
কোনো ভয়ানক শাস্তিই বোধ হয় যথেষ্ট নয়।
আমি নীরব শ্রোতার মত তা শুনেছি,
একবারও কেউ সুযোগ দেয়নি আমার,
দীর্ঘশ্বাস সম্বলিত পক্ষপাত অবলম্বন করার।
সমুদ্র সরে গিয়েছে প্রেমিকের হাত ধরে,
মাঠের যত ঘাস মাথা তুলেছিলো,
তারা যেন সব মৃত, অরণ্যে হয়েছে দাবানল,
পাহাড় ঘুমিয়ে আছে মেঘেদের গায়ে ।
পৃথিবী ব্যস্ত, প্রকৃতি সাজাতে, অপেক্ষা
করেনি কেউ। শত দিন, শত রাত গেছে চলে,
বন্ধু নামক ঝর্ণাটাও স্তব্ধ, একটা গুমোট ভাব
সর্বত্র। আমি বারংবার কিছু শব্দকে হানা করছি,
খুব জোড়ে দৌড়েও তাঁদের ছোঁয়া যাচ্ছে না।
একটা দুর্গন্ধ এসে আমাকে অজ্ঞান করে দিচ্ছে,
জ্ঞান ফিরলে দেখছি আমি এই শতাব্দীর সবচেয়ে
নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হয়েছি, সবচেয়ে নিকৃষ্ট।।
©মাম্পি মল্লিক
আমার লেখা আরো কিছু বাংলা কবিতা ও লেখা যেগুলো আপনার ভালো লাগতে পারে:
যাদের মাথা-মুন্ডু নেই
0 মন্তব্যসমূহ