আজকের লেখা: বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস
পৃথিবী চুপ হয়ে যায় একটা মুহূর্তে, মৃত্যু উপত্যকায় যখনই হয় সমাগম।কিছু দিন, কিছু রাত একেবারেই ধোঁয়া মিশে রয়ে যায়, আলো চলাচল করে না,শহরের কোনো পথে।একেবারে শুন্যতা ছেয়ে ফেলে আমাদের ঘর-দোর।মৃত্যু আসে চুপি-চুপি, প্রবেশদ্বার যেন উম্মুক্ত হয়ে যায় কোনো এক মায়াবী শক্তির বলে। অবসাদ বোধ হয় এক্ষেত্রে অনুঘটক। একই ছন্দে মিলে যেতে চায় মৃত্যুর সাথে। মানুষ তখন তাঁদের এই সখ্যতা দেখে আর অনুমান করে নেয় এই সখ্যতার অংশীদার বোধ হয় সে-ও।
অন্যদিকে মৃত্যু আর অবসাদ একত্রে আহ্বান জানায় সেই মানুষটাকে। এক-একদিন এমনও হয় প্রচেষ্টায় খামতি ঘটে, শেষ হওয়া থেকে আটকে যায় প্রাণটা।আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যা ঘটে যায়, তাঁকে আত্মহত্যা শিরোনাম দিয়ে কেঁদে কূল হারানো ছাড়া বোধ হয় আর কোনো উপায় থাকে না।
মনের মাঝে এমনও একটা অন্ধকার গুহা থাকতে পারে, তা হয়তো মনবিজ্ঞান না থাকলে অজানাই রয়ে যেত।এমন একটা হাড়-হিম করা বিষয় যে এভাবে পৃথিবীর প্রতিটা কোন জুড়ে থেমে থাকতে পারে , তা বোধ হয় ভীষণ রকমই আশ্চর্যজনক।
যে সকল ভুল আমরা করে থাকি, তা যদি ধ্রুবক হয়েই বেঁচে রয়, তবে সংশোধিত অংশটা আমরা কিভাবে পৃথিবীকে দেখবো।যাইহোক, মানুষ আজ একলা ঘরের কোণে নির্জনতার রূপকে যেভাবে পরিলক্ষিত করতে পেরেছে, সময় তা কখনই চায়নি। জলের চেয়েও দ্বিগুণ গতিতে ভেসে গেছে স্বপ্নগুলো।না খেতে পাওয়া একদল আশাবাদী গোষ্ঠী আত্মহত্যা থেকে বাঁচতে খাবার খুঁজছে।
অন্যদিকে, এক মুহূর্তের মধ্যেই নিজেকে শেষ করে দেওয়ার অদম্য অনুভূতিকে আজ কিভাবে বেঁধে ফেলা যায়, তার হিসেব কষছে আজ প্রতিটা পরিভাষা।।
©মাম্পি মল্লিক
0 মন্তব্যসমূহ