লেখা জমা হয়, সময় স্তরের নীচে,
অস্ফুটে শব্দরা ঠোঁট ছুঁয়ে যায়,
মনে হয় কোনো এক শান্ত নদীর জল,
আমার চোখের সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে,
চোখে বড়ো আরাম লাগে, শরীর তা বোঝে না,
অসুস্থ্যতার এক কামড়েই,যেন নুইয়ে যায়।
আকাশ, মেঘ, শূন্যতার মধ্যে শুধু শব্দ খুঁজে বেড়ায়।
লেখারা জমা হতে থাকে, অসুস্থ শরীরের প্রতি কোনায়।
কেউ পড়তে পারে না তা, শুধু আবরণের উপর,
চোখ বুলিয়ে চলে যায় নিজেদের পথে।
সময়ের কাঁটা যে অমূল্য, তাঁর না আছে ধৈর্য্য,
না আছে অপেক্ষা, না আছে স্থিরতা।
সে না জানে থামতে, না জানে গড়তে,
না জানে ভাঙতে, সে জানে কেবল,
আপন ছন্দে , আপন মতে, আপন নিয়মে চলতে।
অসুস্থদের জন্য তার একটুও সময় নেই,
আছে কেবল নিজেকে হাতছানি দেওয়ার ,
এক অপূর্ব ক্ষমতা, যা যেকোনো অসুস্থ্য
মানুষের কাছে বুকভরা ভয়ের মতো।
এমন ভয় নিয়ে , এমন জমানো লেখা নিয়ে,
কত প্রাণ বেঁচে আছে যে পৃথিবীতে।
আমরা কেবল ঘড়ির কাঁটা দেখি,
কিন্তু কাঁটার সে সময় কোথায়?
©মাম্পি মল্লিক
0 মন্তব্যসমূহ