পূর্ণচ্ছেদ দিতে হয়, শেখা তো সেই ছেলেবেলায়,
সময়রেখাগুলো অতিক্রম করতে করতে হয়তো ,
একটা সময় পূর্ণচ্ছেদের ব্যবহার ভুলতে বসি।
কিন্তু, সময় অতিক্রম আর সময়ের ধাক্কা এই দুটো,
কখনোই, এক হতে পারে না। তাই সময়ের ধাক্কাই ,
আমাদের মনে করিয়ে দেয় পূর্ণচ্ছেদের গুরুত্বটা।
গোল , চৌকো, ত্রিকোণ, সমান্তরাল সব-সব,
জ্যামিতিক আকারগুলো তখন যেন মিলে যেতে চায়,
একত্রে, মিলে গিয়ে রূপ দেয় সরল রেখার, পূর্ণচ্ছেদের।
হ্যাঁ! হয়তো সেই জন্যই ভাবনা-চিন্তা, কাজ-কর্ম, কিংবা,
আবেগ-অনুভূতি সবকিছুর শেষে আমরা পূর্ণচ্ছেদকে,
ধ্রুবক করে রাখি। সময় আর এই পূর্ণচ্ছেদের সম্পর্কের,
প্রতিটা স্তর যেন আমাদের জীবনকে নিজেদের মতো করে,
চালনা করতে থাকে। আমরাও চালিত হতে থাকি।
এক এক সময় রাগ হয় মনে হয়, এই পূর্ণচ্ছেদের ভূমিকা,
মানব জীবনটাকে একবারে ছারখার করে দিলো।
পরের মুহূর্তে উপলব্ধি হয়, না থামলে যে নতুন করে
চলা যায় না।তাই,আজ নয় প্রায় প্রতিটা মুহূর্তেই,
আমি পূর্ণচ্ছেদের মুখপানে চেয়ে থাকি,
যাতে যথা সময়ে, যথোপযুক্ত জায়গায় থামা যায়।
পূর্ণচ্ছেদ আছে বলেই হয়তো আমরা,
থামতে শিখেছি, থামি, থামছিও এবং থামবো ও বটে...
©মাম্পি মল্লিক
©মাম্পি মল্লিক
1 মন্তব্যসমূহ
time talks & heals everything...
উত্তরমুছুন